Header Ads

Header ADS

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সফলতা বাংলাদেশে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিবর্তনের জন্য একটি ব্যাতিক্রমী উপলক্ষ্য হতে পারে

 


বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সফলতা  বাংলাদেশে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিবর্তনের জন্য একটি ব্যাতিক্রমী উপলক্ষ্য হতে পারে

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সফলতা 

বিগত ৫ ই আগস্ট তারিখে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলো

জুলাই এক তারিখ থেকে শুরু হয়ে আগস্ট ৫ তারিখে এই আন্দোলন বিজয়ের রূপ পাওয়ার কারণে আগস্ট ৫ তারিখকে জুলাই ৩৬ নামে অভিহিত করা হয়।

আবার আন্দোলনে অংশগ্রহনকৃত ছাত্র জনতা এবং এই আন্দোলন সমর্থকারী অধিকাংশ বাংলাদেশী আগস্ট ৫ তারিখকে দ্বিতীয় স্বাধীনতা নামে  আখ্যায়িত করেছেন।

তবে বয়স্ক বাংলাদেশিরা এই দিবসটিকে তৃতীয় স্বাধীনতা বলেন। তাদের মতে, ব্রিটিশদের কাছ থেকে ১৯৪৮ সালে প্রথম স্বাধীনতা, পাকিস্তানের কাছথেকে দ্বিতীয় স্বাধীনতা এবং আওয়ামী সরকার হতে তৃতীয় স্বাধীনতা বাংলাদেশের।

ছাত্র জনতার এই বিজয়কে সিরিয়াল আকারে যে স্তরেই রাখেন না কেন, এটা স্বীকার  করতেই হবে যে - ছাত্র জনতার এই বিজয় বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি ব্যাতিক্রমী অধ্যায় রচনা করেছে। এমনকি পুরো পৃথিবীতে এরকম নজির আর নেই। বৈষম্যবিরোধী এই ছাত্র আন্দোলনকে এখন সারা বিশ্বের নির্যাতিত মানুষের একটি মডেল বলে আখ্যায়িত করা হয়।

বিজয়ের পর বিজয়ী ছাত্রদের উদ্যোগে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে। বাংলাদেশের একমাত্র নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস এর নেতৃত্বে গঠিত এই সরকারে দুজন ছাত্র প্রতিনিধিও উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। পূর্বের সরকারের তুলনায় এই সরকার কতটুকু ভালো করতে পারবে, তা নিঃস্বন্দেহে সময়ের উপরই ছেড়ে দিতে হবে।

তবে অধুনা কতগুলো প্রাথমিক তদন্ত হতে জানা যায় যে, বিগত সরকার কতগুলো আইন প্রণয়নের মাধ্যমে এবং সকল বিকল্প অবলম্বন করে বিরুদ্ধ শক্তিকে দমন পীড়নের মাদ্ধমে তাদের ক্ষমতা থাকাকেই প্রাধান্য দিয়েছে।   বিরোধী শক্তিকে দমনের এমন কোনো উপায় নেই যা বিগত সরকার অবলম্বন করেনি। । ভোটারবিহীন নির্বাচন, সকল সামরিক ও বেসামরিক প্রতিষ্ঠানে আওয়ামী ঘরানার লোকদের নিয়োগ, কালোবাজারিতে সহায়তা, দেশের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে ভারতের সাথে অসম চুক্তি সম্পাদন, উচ্চবিলাসী প্রকল্প গ্রহণ করে অবৈধভাবে অর্থ লোপাট, কালো আইন করে সাংবাদিকদের হেনস্তা, বিরোধী দলের রাজনীতিবিদদের গ্রেপ্তার করা, তাদের নামে মামলা দেয়া, বিরোধীদের মিটিং মিছিলে হামলা করা, তাদের সম্পদ দখল করা, অবৈধ ব্যাবসায়ীদের সিন্ডিকেটের মাদ্ধমে ভোক্তাদের পকেট হাতিয়ে নেয়া, পুলিশ ও সামরিক বাহিনীতে অসৎ লোভী লোকদের বসিয়ে দিয়ে জনগণকে হয়রানি করা, গুম, খুন ও পন  আদায়ের মাদ্ধমে বাংলাদেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা, ইত্যাদি ছিল বিগত সরকারের দানবীয় ও স্বৈরাচারী বৈশিষ্ট।

আন্দোলন পরবর্তীকালীন বিসৃঙ্খলা 

বিজয়ের প্রথম প্রথম কয়েক দিন দেশে কোনো সরকার ছিল না। ছাত্র ও সামরিক সদস্যরা স্বেচ্ছাসেবার মাদ্ধমে পুলিশের দায়িত্ব পালন করেছেন। সরকার গঠনের পর দেশের আইন শৃঙ্খলা আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। আবার বিপরীতদিকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চাকুরীজীবীদের   বিভিন্ন দাবিতে রাজপথে নেমে আসার প্রবণতাও বেড়ে গিয়েছে। দেশের গার্মেন্ট সেক্টরেও শ্রমিকদের এধরণের উদ্যোগ দেখা দিয়েছে। অধুনা চাকুরীর বয়স ৩৫ করার দাবিতে একদন প্রবীণ ছাত্রছাত্রীরা রাস্তায় নেমে এসেছে।   ওদিকে বাংলাদেশের এই ক্রান্তিলগ্নে পার্শবর্তী দেশের সরকারগুলো সীমান্তে তাদের অপতত্পরতা বাড়িয়ে দিয়েছে। এ রকম পরিস্থিতিতে ঢাকার শহর একটি দাবি দেওয়ার শহরে পরিণত হয়েছে।  দেশের অনেক সেক্টরেই বিস্তৃঙ্খলা চলছে, যদিও এখনও  পর্যন্ত এটি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।

তবে আন্দোলনে সমর্থনকারী ও অংশগ্রহণকারীদের দৃষ্টিভঙ্গি বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞজনরা মনে করেন যে ছাত্রছাত্রীদের এই আন্দোলন বাংলাদেশের অতীতের অনিয়ম, অবিচার, বৈষম্যমূলক নীতি, অপরাজনীতি, আর্থিক ও আইন বিভাগের দুর্নীতি ইত্যাদিসহ দেশের সকল সেক্টরে ব্যাপক সংস্কার করার সম্ভাবনা অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্রছাত্রীদের এই আন্দোলনটি ছিল একটি ভিন্নরকম ধাঁচের আন্দোলন যা আগে কখনো আর দেখা যায়নি

আমার আগের কয়েকটি ভিডিওতে আমি বাংলাদেশের জিডিপি নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। দেশচিন্তা চ্যানেলের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের আর্থিক উন্নয়নের নিয়ামকগুলো আলোচনা করে উন্নয়ন দেশবাসীকে উন্নয়ন কাজে উদ্বুদ্ধ করা এবং উন্নয়ন পদ্ধতিগুলো সঠিকভাবে চিহ্নিত করে পরিকল্পনাবিদদের সহায়তা করা। দেশের এই অন্তর্নবর্তীকালীন সময়ে বর্তমানকার পরিস্থিতি আলোচনা করে দেশবাসীকে চিন্তা চেতনার সাথে  নিজেকে সম্পৃক্ত করার লোভ সামলাতে এ পেরে আজকের ভিডিওর এই আলোচনাটি করতে উদ্যত হলাম। অন্তত, ছাত্র জনতার দ্বিতীয় স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মহান বিজয়ের ঘটনাটি আমার এই দেশচিন্তা চ্যানেলের টাইমলাইনে রাখতে পারলাম। ভবিষ্যতে উন্নয়ন ভাবনাগুলো আলোচনা করলেও মাঝে মধ্যে রাজনৈতিক এই বষয়টির কিছু কিছু পর্ব আয়োজন না করে থাকতে পারবেন না।

আজকের আলোচনায় আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পটভূমি, নতুন সরকারের ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ ও অতিদ্রুত করণীয় সংক্রন্ত বিষয়গুলো আলোচনা করবো। 

বিগত বছরগুলোতে কোটাপ্রথা বিলুপ্তির দাবিতে ছাত্র আন্দোলনের পটভূমি সম্মন্ধে কম বেশি আমরা সবাই জানি। চাকুরীতে ১৯৭২ সালে মুক্তিযোদ্ধা ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য ৮০% কোটা রাখার ব্যবস্থা হলেও মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের দাবির মুখে ১৯৭৬ সালে মেধাবহির্ভুত কোটাকে নামিয়ে আশি হতে নামিয়ে ৬0% করা হয় এবং মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়ার জন্য 40% চাকুরীর বিধান প্রচলন করা হয়। ১৯৯০ সালে মেধার ভিত্তিতে চাকুরীর কোটা বৃদ্ধির আন্দোলন আবার শুরু হলে ১৯৯৬ এ মেধার ভিত্তিতে কোটা 40% থেকে উন্নীত করে ৫৫% করা হয় । পরবর্তী বছরগুলোতে আন্দোলন আরো গতি পেলে সরকার ২০১৮ সালে চাকুরীতে কোটাপ্রথা সম্পূর্ণরূপে বাতিল করতে বাধ্য হয়।  

আন্দোলনের উত্তাল কিছুদিন 

তবে, এ বছর - মানে ২০২৪ এর  জুন মাসের পাঁচ তারিখে হাইকোর্টে দুজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের রিটের বলে হাইকোর্ট পূর্বের কোটা প্রথা চালু করলে ছাত্ররা আবার রাস্তায় নেমে আসে। ছাত্রদের আন্দোলন সরকার কর্তৃক নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে সরকার হাইকোর্টের আপিল বিভাগে জুন মাসের পাঁচ তারিখের আদেশ বাতিলের আবেদন করে। কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে এনে আপিল বিভাগ বিগত জুলাই মাসের ১১ তারিখে রায় ঘোষণা করলেও আন্দোলনকারী ছাত্রদের উপর সরকারের নিবর্তনমূলক পদক্ষেপ, গণ গ্রেফতার, ব্যাপক পুলিশি অত্যাচার ও দেশের বিভিন্নস্থানে ছাত্রলীগ ও আওয়ামীলীগের সকল অঙ্গসংগঠনের ক্যাডার   দ্বারা আন্দোলণরত ছাত্রছাত্রীদের উপর আক্রমণকে কেন্দ্র করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রছাত্রীরা সরকার পতনের এক দফার আন্দোলনে নামে ।

আন্দোলনের সফলতার দিনগুলো   

এই আন্দোলনটি প্রথমে কোটাবিরোধী আন্দোলন নামে শুরু হলেও পরবর্তীকালে সরকারের গোয়ার্তুমির কারণে আন্দোলনটি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন নাম ধারণ করে। সরকারের নির্বিচার আচরণ ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধের এই আন্দোলনে দেশের আপামর জনসাধারণ এই আন্দোলনে পূর্ণ সমর্থন জানায় ও ছাত্রছাত্রীদের সাথে রাস্তায় নেমে আসে। এহেন পরিস্থিতিতে সেনাপ্রধান ঘোষণা দেন যে - তিনি ও তার তিন বাহিনীর সৈন্যরা জনগণের সাথে থাকবেন। ফলে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেন এবং দেশ হতে পলায়ন করেন। তার পদত্যাগ করার পর পর অধিকাংশ সাংসদ, দলীয় নেতা এবং আওয়ামী সরকারে মদদ প্রদানকারী চিহ্নিত ব্যাক্তিবর্গও গা ঢাকা দেন। বিজয়ী ছাত্র জনতার উদ্যোগে নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিজয়ের তিনদিনের মাথায় দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে।  

কেমন ছিল বিজয়ের পরবর্তী দিনগুলো 

ক্ষমতা গ্রহণের পর এই নতুন সরকারের প্রথম ও গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ ছিল দেশের আইনশৃঙ্খলা স্থিত করা। জুলাই পাঁচ তারিখে ছাত্র- জনতার বিজয় অর্জিত হওয়ার পর বস্তুত তিন দিন  দেশে কোনো সরকার ছিল না। বিগত সরকার কর্তৃক দেশের পুলিশ বিভাগকে দলীয় স্বার্থে গুম, খুন, রাহাজানি, ও বিরোধীদের দমনপীড়নে ব্যবহার করাতে পুলিশের উপর আপামর জনসাধারণের ক্ষোভ চরমে উঠে ছিল। এ কারণে জনরোষ এড়াতে ভয়ে পুলিশের সদস্যরাও গা ঢাকা দেয়। ফলে ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম কয়েকদিন দেশে কোনো পুলিশ ছিল না।

ইতোমধ্যে সরকার এই সমস্যাটির অনেকাংশে সমাধান করতে পেরেছে। এ মাসের পাঁচ তারিখে নতুন সরকারের এক মাস অতিক্রান্ত হয়েছে।  কিছু কিছু জটিল ক্ষেত্রে সমাধান না এলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সরকার প্রাথমিক জরুরি কাজগুলোতে সাফল্য পেয়েছে এবং ইতোমধ্যে দেশ স্বাভাবিক হতেও শুরু করেছে। সরকারের প্রাথমিক সাফল্যের এক মাসকে এবং আওয়ামী সরকারের পতনের প্রথম মাসকে স্মরণীয় রাখার জন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা আন্দোলনে এই আন্দোলনে নিহত ছাত্রছাত্রীদের স্মরণে গত পাঁচই সেপ্টেম্বর তারিখে  রাজধানী ঢাকায় শহীদি মার্চ উৎযাপন করেছে।

১৯৯০ থেকে কোটা বিষয়ে কোর্টের রায় 

বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলন মূলত কোটাপ্রথার বিরুদ্ধে শুরু হয় ১৯৯০-এর দশক থেকে যেটি পরবর্তীকালে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোনলে রূপান্তরিত হয়।   ২০১৮ সালে এই আন্দোলন যখন তীব্র আকার ধারণ করে, তখন তা জাতীয় দৈনিক, সামাজিক গণমাধ্যম ও বেসরকারি টেলিভিশনে ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়। ছাত্ররা মূলত দাবি করে যে, কোটাকে যুক্তিসঙ্গত ন্যূনতম পর্যায়ে নিয়ে আসা উচিত। এ আন্দোলনের ফলস্বরূপ, সরকার কোটা সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিলেও গড়িমসি করতে থাকে এবং বিষয়টি আদালতের এখতিয়ার বলে ঘোষণা করে। ১৯১৮ সালের কোটা প্রথা উচ্ছেদের নির্বাহী আদেশটি সুপ্রীম কোর্ট বাতিল করলে ছাত্রদের আন্দোলন উত্তাল রূপ ধারণ করে। ফলে সরকার পূর্বের আদেশটি বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল করলে নানান ঘটনা-দুর্ঘটনার পর আপিল বিভাগ ২০২৪ এর জুলাই মাসের একুশ তারিখে মেধার ভিত্তিতে ৯৩% কোটা রেখে কোটাপ্রথার মার্জিত একটি আদেশ দেয় । সরকারের গড়িমসির কারণে ইতোমধ্যে আন্দোলনে আরো অনেক দাবি যোগ হয় এবং সারা দেশে আন্দোলনটি সরকারের জন্য অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ে। জুলাই মাসের পাঁচ তারিখে সরকারের পতন হয় এবং শেখ হাসিনা পার্শবর্তী দেশে পলায়ন করে।

আন্দোলনের সাথে জনগণের মিথস্ক্রিয়া 

ছাত্র ছাত্রীদের এই আন্দোলনে সাধারণ জনতা ও বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর সদস্যরাও যোগ দেয়। ছাত্র জনতার এই বিজয়টি   জুলাই ৩৬ বা দ্বিতীয় স্বাধীনতা দিবস হিসেবে ফেসবুকসহ সকল গণমাধ্মে বহুল প্রচার লাভ করে। 

তবে, বিজয়ের পরে কিছু কিছু স্বার্থান্নেষী ব্যাক্তি ও গোষ্ঠীর কারণে কোথাও কোথাও সহিংসতা, রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব এবং দেশের অস্থিরতা পরিলক্ষিত হয়। এ ধরণের নেতিবাচক পরিস্থিতির জন্য বিজিত আওয়ামী লীগের গোপন কার্যক্রমকে দায়ী করা হচ্ছে। নোবেল জয়ী ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ইতোমধ্যে বিগত সরকারের অপকর্মগুলোর তদন্ত শুরু করেছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সন্দেহভাজন লোক ও প্রতিষ্ঠানের প্রতি আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা সহ গুম, খুন ও রাহাজানির  সাথে সম্পৃক্ত কিছু কিছু লোককে ইতোমধ্যে আইনের হেফাজতে আনা হয়েছে।

আন্দোলনের সাথে রাজনৈতিক দলসমূহের একাত্মতা 

ইতোমধ্যে ড. ইউনুস দেশের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে সংলাপের আয়োজন করেন এবং আগামী নির্বাচনের সম্ভাব্য একটি তারিখ নির্ধারণে দলগুলোর নেতাদের সাথে মত বিনিময় করেন।  এ ধরণের সংলাপ সরকারের বৈষম্যবিরোধী নীতিমালা প্রণয়ন করায়ও  ভূমিকা রাখবে।  ইতোমধ্যে শিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষা ব্যবস্থার গুণগত মান বৃদ্ধির জন্য কার্যকরী নীতিমালা প্রণয়নের কথাও জানিয়েছেন। দেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতোমধ্যে উপাচার্য নিয়োগের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা দেশের পুলিশ প্রশাসনেও শৃঙ্খলা আনয়ন করার ব্যাপারটিতেও  অগ্রগতি আনতে সক্ষম হয়েছেন। দেশের বিচারালয়গুলোতে নতুন বিচারক নিয়োগ দিয়ে বিচার ব্যাবস্থাকে পূর্ণোদ্যমে চালু করা হয়েছে। পরিপূর্ণভাবে না হলেও দেশের আইনি কাঠামো  সক্রিয় হয়েছে। এতো অল্প সময়ে এ ধরণের অগ্রগতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাফল্যকে বিশ্ব দরবারে স্বীকৃত করতে  সক্ষম হয়েছে।

যে বিষয়গুলো আন্দোলনে ঝাঁকুনি দিয়েছিলো 

বৈষম্যবিরোধী এই আন্দোলনে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যেতে কিছু কিছু ঘটনাকে অনুঘটক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যেমন একটি সাংবাদিক সম্মেলনে শেখ হাসিনার আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের পরোক্ষভাবে রাজাকার বলে গালি দেয়া,  রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সায়েদের ও ঢাকার আজমপুরে পানি বিতরণকারী মুগ্ধর হত্যা, আন্দোলনে প্রথমবারের মতো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের রাস্তায় নামা, ইত্যাদি। এ আন্দোলনটি সফল হওয়ার পেছেনে আরো বড় যে কারণটি রয়েছে তা হলো হাসিনা সরকারের সময়ে জন দুর্ভোগ চরম পর্যায়ে পৌঁছে যাওয়া, নিত্য পণ্যের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়া, জনগণের সাথে পুলিশের অত্যাচার ও দুর্ব্যবহার অসহনীয় পর্যায়ে বেড়ে যাওয়া, আদালতে ফরমায়েশি রায় দেয়া, অফিস ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়ম বহির্ভুতভাবে দলীয় লোকদেরকে বসিয়ে দেয়া, ইত্যাদি। বিভিন্ন সূত্রের বরাতে জানা যায় যে এই আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে আতশতর বেশি ছাত্র জনতা শহীদ হয়েছেন। এছাড়া অগণিত ছাত্রজনতা আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসারত আছেন। উল্লেখ, বৈষম্যবিরোধী এই আন্দোলনে বাতিক্রমীভাবে মাদ্রাসার ছাত্ররাও অংশগ্রহণ করে। 

এই আন্দোলনের আরো বিশেষ কয়েকটি বৈশিষ্ট ছিল এই যে, আন্দোলনটি কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত হয়নি। কিছু দেশপ্রেমিক বিজ্ঞ-ছাত্রছাত্রীদের নেতৃত্বে আন্দোলনটি পর্যায়ক্রমিক কিছু থীম  নিয়ে পরিচালিত হচ্ছিলো। বিজয়ের দিনে কোনো কোনো রাজনৈতিক দল আন্দোলনে নিজেদেরকে আন্দোলনের অংশী হিসেবে শিকার করলেও আন্দোলনকে নিজেরদের নেতৃত্বের ক্রেডিট না দিয়ে সম্পূর্ণভাবে ছাত্রছাত্রীদেরকেই দিয়েছে। বিজয়ের মুহূর্তে আন্দোলনপরবর্তী সময়কালে পুরাতন ধাঁচে দেশ পরিচালনা করতে অস্বীকার করে ছাত্ররা নতুন ধাঁচের বৈষম্যবিরোধী চেতনায় বিশ্বাসীদের দিয়ে দেশ পরিচালনা করার দৃঢ় প্রত্যয় প্রকাশ করেছিল।

ছাত্র-ছাত্রী সমন্বয়কদের বিশেষ বিশেষ কৌশল

বাংলাদেশের একমাত্র নোবেল বিজয়ী ড. ইনুসের নেতৃত্বে গঠিত উপদেষ্টা পরিষদে ছাত্রছাত্রীদের পক্ষ থেকে দুজন ছাত্র নেতাও অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। শুধু কি তাই? নেতৃত্ব প্রদানকারী ছাত্রচারীদের মতে, শুধুমাত্র সরকারে তাদের প্রতিনিধি থাকলেই চলবে না, সরকারের ভুল ক্রিয়া-কলাপের বিরোধিতা করতে ছাত্র ছাত্রীদেরকে মাঠেও থাকতে হবে। ইতোমধ্যে আমরা দেখতে পাচ্ছি, দেশের ক্রীড়া সেক্টরের উন্নতিকল্পে যোগ্য খেলোয়াড়দের বাছাই করার কাজে ছাত্র ছাত্রীদেরকেও সম্পৃক্ত করা হয়েছে। আমরা আশা করতে পারি যে, ভবিষ্যতে রাষ্ট্র ও সমাজ হতে বৈষম্য, অন্যায়-অবিচার দূরীভূত করতে এই দেশপ্রেমিক ছাত্র ছাত্রীরা দেশের সকল উন্নয়ন কাজের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। 

তবে একটি কথা এখানে না বললে ই নয়। তা হলো কোনো বিশেষ সেক্টরের পরিচালনা ও উন্নয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞদের সহায়তা নিতে হবে। তা না হলে বিগত সরকারের ফ্যাসিবাদী চেতনায় বিশ্বাসী কুশীলবরা সরব হয়ে আন্দোলনের অভীষ্ট লক্ষ্য হতে দেশ পরিচালনায় নিয়োজিত নেতৃত্বকে ভুল পথে নিয়ে যাওয়ার প্রয়াস পেতে পারে। 

এ কথাটাও ঠিক যে বর্তমানকার ছাত্র জনতার নিয়োগকৃত অন্তর্বর্তীকালীন - তথা বিপ্লবী সরকার দেশের জন্য প্রয়োজনীয় সকল সংস্কার করতে গেলে দু চার বছরে সম্ভব হবে। স্বল্প সময়ে সকল সেক্টরে বাস্তব ও সঠিক পরিবর্তন করাও সম্ভব নয়। রাষ্ট্র-সরকার সংস্কারের দুটি স্তর রয়েছে; স্বল্পকালীন ও দীর্ঘকালীন। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে অধুনা বিভিন্ন মহল হতে দেশের প্রচলিত সংবিধান সরিয়ে নতুন দেশের জন্য নতুন একটি সংবিধান প্রণয়নের দাবি উঠেছে। আমার মতে, এই সরকারের পক্ষে এটা খুব কঠিন হবে। কারণ নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে নতুন সংসদের প্রয়োজন হবে। তবে স্বল্প মেয়াদে দেশের প্রেসিডেন্টর অফিসে হতে অর্ডিন্যান্স জারি ও সুপ্রীম কোর্টের রুল জারির মাধ্যমে বিপ্লবের উদ্দেশ্য বিবেচনায় বর্তমানকার প্রচলিত সংবিধানের কিছু কিছু প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করার উদ্যোগ এই সরকার গ্রহণ করতে পারে।

দেশের জাতীয় সংগীত প্রণয়ন ও পরিবর্তিত সংবিধানের আলোকে নির্বাচন কমিশনের পূর্ণাঙ্গ পুনর্গঠন এখন বৈষম্য বিরোধী চেতনার দাবি হয়ে উঠেছে। দেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষা, বিগত সরকারে সহায়তাকারী দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যাবসায়ী, ব্যাংকার ও রাজনৈতিক দুর্বৃত্তদের আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়াসে চৌকষ, দেশপ্রেমী ও দক্ষ সদস্যদের সমন্বয়ে ৱ্যাবকে পুনর্গঠন করার দাবিটিও এখন মুখ হয়ে গণমাধ্যমে সরব হয়েছে।

অধুনা আরো দুটি বিষয় সর্বমহলে ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। প্রথমটি যা শুনা যাচ্ছে, নতুন সরকার নাকি আমেরিকান ব্লক আসিয়ান গ্রূপে যোগ দিতে চাচ্ছে। সামরিক দিক বিবেচনা করে এই বিষয়ে ভেবে চিনতে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কারণ, চীন বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু। চীনকে খেপালে

ভবিষ্যতে বাংলাদেশের উত্তর পূর্ব ও পূর্ব সীমান্তে চীন ভারতের সাথে জেরকমটি করছে, তা বাংলাদেশের  সাথেও করতে পারে। দ্বিতীয় বিষয়টি হচ্ছে, বাংলাদেশকে পাঁচটি প্রদেশে ভাগ করার চিন্তা ভাবনা। এই দুটি বিষয়ই রাজনৈতিক ভাবনা। এই দুটি বিষয় নির্বাচিত সরকারের সিদ্ধান্তের জন্য রেখে দেয়া যেতে পারে।

জরুরিভিত্তিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যা যা করতে হবে 

বিগত সরকারের একটি স্বৈরাচারী  নীতি ছিল-  অফিস আদালত, পুলিশ, সামরিক  বাহিনী হতে শুরু করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদসমূহে আওয়ামী ঘরানার অযোগ্য লোকদের বসিয়ে দেয়া। আমরা আশা করবো, এই সকল দলান্ধ লোকদের সরিয়ে যোগ্য ও সৎ লোকদের ওই সকল উচ্চ পদে পদায়ন করার ব্যবস্থা এই বিপ্লবী সরকার করবে । বিশেষ করে মন্ত্রণালয়সমূহ এখনো পূর্বের দলীয় সচিবদের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। সরকারের নতুন সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নের জন্য সকল মন্ত্রণালয়ের আওয়ামী দোসর সচিবদের যত দ্রুত সম্ভব সরিয়ে দিতে হবে।

তবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতির লাগাম ধরতে স্বল্পকালীন কিছু কিছু পদক্ষেপ নেয়া বর্থমান বিপ্লবী সরকারের প্রধানতম দায়িত্বের অন্তর্গত। সাথে সাথে দেশের গার্মেন্ট সেক্টরে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা, রেমিটেন্স যোদ্ধাদের অর্জিত অর্থসমূহ যথাযথ আর্থিক ব্যাবস্থার মাদ্ধমে দেশে আনাসহ তাদের  স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যাপারগুলোতে এই সরকার মনোযোগী হতে পারে। বর্তমানে দেশ বিগত সরকারের করা ১৮ লক্ষ কোটি টাকার দেনায় জর্জরিত। কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থা বা দেশ হতে এই অর্থ পরিশোধ করার জন্য সরকারের ঋণ সংগ্রহ করতে হবে।  

সময় টিভির মতে, ওয়াশিংটনভিত্তিক অর্থিক খাতের গবেষণা সংস্থা গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইনটেগ্রিটির (জিএফআই) তথ্য বলছে, বাংলাদেশ থেকে গড়ে প্রতি বছর ৭৫৩ কোটি ৩৭ লাখ ডলার বা ৮০ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে। সে হিসেবে বিগত ১৫ বছরে বিদেশে হুন্ডি, ব্যাঙ্ক, বাণিজ্যিক কারসাজি, ও চোরাচালানের মাদ্ধমে অবৈধভাবে এগারো লক্ষ্য ত্রিশ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে। দেশের বাইরে পাচারকৃত এই অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনা গেলে ওই অর্থগুলো দেশের উন্নয়ন কাজে ব্যবহার করা যাবে। 

আর একটি নীতির প্রতি এই সরকারকে অবশ্যই দৃষ্টি রাখতে হবে, তা হলো আঠারো কোটি মানুষের খাদ্যের যোগান দেয়া কৃষি সেক্টরে ভূর্তকির পরিমান বাড়িয়ে দিয়ে কৃষি সেক্টরের উৎপাদনকে টেকসই ও রপ্তানিমুখী করা গেলে কৃষি সেক্টর অন্নান্ন সেক্টর উন্নয়নে অবদান রাখবে বলে কৃষি বিশেষজ্ঞদের ধারণা ।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে সাধারণ জনগণের আশা আকাঙ্খা 

এতক্ষন ধরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, আগস্ট ৫ এর বিজয় ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন ও তাদের ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জের বিষয়গুলি আলোচনা করলাম। দেশের পরিস্থিতি আস্তে আস্তে উন্নত হচ্ছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। আমরা একটি সরকার পরিবর্তন করে নতুন একটি অস্থায়ী সরকার পেলাম। আটশত শহীদ বৈষম্যবিরোধী ছাত্রছাত্রীদের জীবন দান, হাসপাতালের নির্জন কোঠরে আহত ছাত্রজনতার  কোঁকানি, নিহত ছাত্রজনতার বাবা মায়ের সন্তান হারানোর বেদনা, ইত্যাদি ইত্যাদি  জাতীয় দুর্যোগগুলো আমাদের জাতীয় কোরবানি। এ সবই দেশের প্রচলিত নিয়মগুলো পরিবর্তন করে একটি দুর্নীতিমুক্ত বৈষম্যহীন সমাজ ব্যাবস্থার প্রবর্তন করার জন্য আত্মত্যাগ।

তবে এটাও ঠিক যে ব্যাপক সংস্কার করতে হলে একটি বৈধ-নির্বাচিত সংসদ দরকার। যৌক্তিক সময়সীমার মধ্যে নির্বাচন দেয়ার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপর রাজনীতিবিদদের চাপও রয়েছে। ধরে নিলাম, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তিন মাস পরেই ইলেকশন দিয়ে দিলো। ইলেকশন হলো, প্রশ্ন হলো - যে দল ক্ষমতায় আসলো, সে দলের শাসন কি বৈসম্মবিরোধী ছাত্রছাত্রীদের চেতনাকে ধারণ করবে? একারণে, ভবিষ্যতের সরকারে সে চেতনার অন্তর্ভুক্তির জন্য রাজনীতিতে ব্যাপক সংস্কার হতে হবে। এ জন্য ড. ইউনুস সরকারকে পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে, সংস্কার কার্যক্রম শুরু করার আগে বর্তমান সরকারকে পরিপূর্ণভাবে স্থিতিশীলতা অর্জন করতে হবে। আর সেটি হতে হলে  এ সরকারকে পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে। সংস্কারের এই সময়টাতে আনুপানিকহারে   অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে রাজনৈতিক দলগুলো হতে প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্তি করলে দ্রুত ইলেকশন দেয়ার রাজনৈতিক চাপ কমে যাবে এবং সব দলের সমন্বয়ে সংস্কার কার্যক্রম সহজ হয়ে যাবে।  অর্থাৎ, দ্রুত ইলেক্শনের জন্য রাজনৈতিক চাপ এড়াতে  অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরিবর্তে একটি জাতীয় সরকারের চিন্তা করা যেতে পারে।

আমার নিজের ও আপনার আশা আকাঙ্খা 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্রছাত্রীদের চেতনা হলো - বৈষম্য ও দুর্নীতিমুক্ত নতুন একটি বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়।  ছাত্রছাত্রীদের আশা ও লক্ষ্য কবে কতটুকু অর্জিত হবে, সেটা ভবিষৎই বলে দেবে।  তবে ভালোকিছু আশা করতেতো দোষ  নেই। সে আশা বুকে নিয়েই ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে থাকলাম। 

সংশ্লিষ্ট ভিডিওর লিংক 

https://youtu.be/Gti0BDdFOX4

No comments

Powered by Blogger.